মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম ডিপোজিট কর্মসূচি 100% সিকিউর

মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম ডিপোজিট কর্মসূচি
5/5 - (38 votes)

মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম। বিভিন্ন মেয়েদের উপরে ভিত্তি করে মেঘনা ব্যাংক দিচ্ছে ডিপিএস এবং ডিপোজিট পেনশন স্কিম সুবিধা। আজকের এই আর্টিকেলে মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম এবং মেঘনা ব্যাংকের সকল ডিপিএস সেই সাথে মাসিক চাঁদা বা কিস্তির পরিমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম কি?

প্রাপ্তবয়স্করা তাদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি নিশ্চিত করার জন্য মেঘনা ব্যাংক একাউন্ট খুলে সেখানে ডিপোজিট ফান্ড হিসেবে মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেঘনা ব্যাংক কর্তৃক একটি বিশেষ সঞ্চয় পত্র যা ইএমআই (মূলধন + সুদ) ভিত্তিতে ব্যক্তির সঞ্চয়ী হিসাব এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে চাঁদা হিসেবে গ্রহণ করে এবং নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে ডিপোজিট কৃত অর্থের পরিমাণ অনুযায়ী পার্সেন্টেজ হিসেবে মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম কাজ করে প্রাপ্তির সুবিধা দেয়।

মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম এর সুবিধা

মেঘনা ব্যাংক বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা। সাধারণত এই ব্যাংক কর্তৃক একটি বেসিক সঞ্চয় স্কিম অর্থাৎ (মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম) যা গ্রাহকদেরকে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সঞ্চয় করতে সহায়তা করে ।

মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম এর সুবিধা সমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

  • ৮টি বিভিন্ন মেয়াদে পেনশন স্কিম
  • মাসিক জমা ৫০০ টাকা
  • চেক বই সুবিধা
  • প্রাথমিক জমার শর্ত নেই
  • যে কোন সময় চাঁদা বা কিস্তি দেয়ার সুবিধা
  • ৯০% পর্যন্ত লোন সুবিধা
  • একক বা যৌথ নামে পেনশন স্কিম

৮টি বিভিন্ন মেয়াদে পেনশন স্কিম: অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম কর্মসূচিতে সর্বমোট আটটি (৮) ক্যাটাগরিতে ডিপোজিট পেনশন স্কিম কর্মসূচি চালু করেছে। মেঘনা ডিপিএস পেনশন স্কিম যথাক্রমে ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এবং ১০ বছরের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মাসিক জমা ৫০০ টাকা: সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচিতে সমতা পেনশন স্কিম– এর মাসিক চাঁদার হার ধরা হয়েছে ১ হাজার টাকা। তবে সমতা পেনশন স্কিমে চাঁদা দাতা দিবেন ৫০০ টাকা এবং তার হয়ে সরকার দেবে ৫০০ টাকা, সর্বমোট ১০০০ ০ টাকা। কিন্তু মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিমের চাঁদা শুরু কেবলমাত্র ৫০০ টাকা থেকে।

চেক বই সুবিধা: ব্যাংক একাউন্টের যেকোনো সঞ্চয় অথবা ডিপোজিট হিসাব খোলার পর যেরকম চেক বই দেয়া হয় ডিপোজিট পেনশন স্কিম একাউন্ট আবেদনের সময় ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডার কে সেরকমই চেক বই দেয়া হবে। এতে করে পেনশন গ্রহীতা তার ডিপোজিটরের টাকা খুব সহজেই জমা দিতে পারবেন।

প্রাথমিক জমার শর্ত নেই: অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট চালু করার সময় প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচশো টাকা অথবা ১০০০ টাকা জমা দেবার প্রচলন আছে। কিন্তু যারা মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম একাউন্ট খুলবেন তাদের জন্য প্রাথমিক জমার কোন প্রয়োজন নেই।

যে কোন সময় চাঁদা বা কিস্তি দেয়ার সুবিধা: সর্বজনীন পেনশন স্কিম সহ অন্যান্য ব্যাংকের পেনশন স্কিম গ্রহণ করার জন্য প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখের ভিতরে মাসিক চাঁদা বা কিস্তি প্রদান করতে হয়। কিন্তু মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট স্কিম কর্মসূচিতে চলতি মাসের যে কোন তারিখে চাঁদা বা কিস্তি প্রদান করতে পারবেন।

৯০% পর্যন্ত লোন সুবিধা: মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম একাউন্টে জমাকৃত অর্থের উপর সর্বোচ্চ নব্বই পার্সেন্ট ৯০% লোন হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন। যা পরবর্তীতে আপনাকে পুনরায় (যদি আপনি পেনশন পেতে চান) পরিশোধ করতে হবে।

একক বা যৌথ নামে পেনশন স্কিম: মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম দিচ্ছে পুরুষ ও নারী একক বা যৌথ নামে অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ। স্বামী স্ত্রী কিংবা ভাই বোন অথবা ছেলে-মেয়ে এরকম ভাবে একক অথবা যৌথ নামে মেঘনা পেনশন স্কিম আবেদন করতে পারবেন।

কারা মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম-এ অংশগ্রহণ করতে পারবে?

ব্যাংকিং সঞ্চয় হিসাব বা যেকোনো ধরনের হিসাব খোলার জন্য অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে। এবং আমরা সকলেই জানি প্রাপ্তবয়স্ক না হলে অর্থাৎ এদেশে প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে বোঝানো হয় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী (রেসিডেন্ট এবং নন-রেসিডেন্ট) বাংলাদেশের নাগরিকগণ মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

আরো পড়ুন,

কিভাবে মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম একাউন্ট আবেদন করতে হয়?

ঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম একাউন্ট আবেদন করা একদমই সহজ। ব্যাংকের অন্যান্য আকাউন্ট খোলার মতোই পেনশন স্কিম একাউন্ট খোলার পদ্ধতি প্রায় একই। শুধুমাত্র ডিপিএস অথবা ডিপোজিট আপনি কি হিসেবে রাখবেন যে হিসেব আপনি তৈরি করছেন সেখানে পেনশন গ্রহণ করবেন কিনা তা উল্লেখ করে দিতে হবে। যে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ মেঘনা ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন স্কিম হিসাব খুলতে পারেন। মেঘনা ব্যাংক পেনশন স্কিম একাউন্ট কিভাবে আবেদন করতে হয় তা নিম্নে তুলে ধরা হলো:-

  • নিকটস্থ ব্যাংকে গিয়ে নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
  • নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজি টাকা জমা দিতে হবে।
  • গ্রাহকের এক কপি ছবি অন্য হিসাবধারী দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
  • নমিনীর এক কপি সত্যায়িত ছবি।
  • TIN সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যদি কারো আইডি কার্ড না থাকে অথবা যদি স্বল্প বয়সি নাবালক সন্তানের জন্য ডিপোজিট পেনশন স্কিম একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে নাবালকের পিতা-মাতা বা কোর্ট কর্তৃক অভিভাবকত্ব গ্রহন করে নাবালকের পক্ষে “নাবালক” হিসাব খুলতে হবে। এক্ষেত্রে নাবালকের জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদের সনদের ফটোকপি এবং আইনগত ভাবে অভিভাবকের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সত্যায়িত ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে।

মেঘনা ব্যাংক যোগাযোগ এর ঠিকানা

মেঘনা ব্যাংক হেড অফিস: সুবাস্তু ইমাম স্কয়ার (লেভেল- ০৩ এবং লেভেল- ০৬), ৬৫ গুলশান এভিনিউ, গুলশান- ০১ ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ অথবা ব্যাংকের যেকোন শাখা/ এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট/ উপশাখায় যোগাযোগ করুন

  1. ✆ কল সেন্টার: +৮৮০১৭৭৭৭৯৭৭৭৭ (দেশ ও বিদেশ)
  2. পিএবিএক্স: +(৮৮০ ২) ২২২২৯১৩৫২, ২২২২৯৭৩২৯, ২২২২৬১৩০২
  3. ফ্যাক্স: +(৮৮০ ২) ২২২২৮৭১২৮
  4. সুইফট কোড: MGBLBDDH
  5. ইমেইল: info@meghnabank.com.bd
  6. ওয়েবসাইটঃ www.meghnabank.com.bd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe now

Give us a call or fill in the form below and we will contact you. We endeavor to answer all inquiries within 24 hours on business days.